রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

১০।বিধ্বস্ত মানবতা(সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী








আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি গত শতাব্দীর সাড়া জাগানো দায়ী সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভীর বই নিয়ে,আজকের বইটি তার আমেরিকা সফর এর অভিজ্ঞতার বর্ননা নিয়ে সাজানো হয়ছে।পাঠকের সুবিধার জন্য এর কিছু অংশ তুলে ধরা  হয়েছে-


আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেকশনে পড়াশুনা করেছেন।আপনাদের দৃদ্ষ্টিভঙ্গি সুদূরপ্রসারী।আপনারাই বলুন,এত দান-সদকা শেষে আমেরিকা বিশ্ববাসীর কাছে কী প্রতিদান পেয়েছে? আমেরিকা যদি কোন বিপয়র্যয়ের সন্মখীন হয় তবে কেউ কী এগিয়ে আসবে তার সাহায্যার্থে?দুফোটা অশ্রু ফেলবে কি কেউ?আমার তো মনে হয় কেউ ফেলবে না।সকলেই অপেক্ষা করছে কবে আসবে আমেরিককার পতন।
আপনি পাশ্চাত্যের চরিত্রগত অবস্থা অবলোকন  করলে সিদ্বান্ত নিতে বাধ্য হবেন যে ওরা আজ অধঃপতনের অতলতলে নিমজ্জিত।একদিকে তাকালে দেখবেন ওদের জড়বাদী উৎকর্ষ,অন্যদিকে তাকালে দেখবেন মানসিক অস্হিরতা ও শিশুসুলভ প্রলাপ।একদিকে দেখবেন,ওরে চাদে৺র দেশে আরোহন করছে,অন্যদিকে নৈতিক অবক্ষয়ে তিলে তিলে ক্ষয় হয়ে অসভ্য জানোয়ারে পরিনত হচ্ছে।এ সেই আমেরিকা,জাগতিক জীবনের যে সব সমস্যার সমাধান দিয়েছে,কিন্তু যুবক শ্রেণীকে দিতে পারেনি চরিত্র গঠনের সবক।

পাশ্চাত্য সভ্যতা আজ আত্নহত্যার মুখে।ওরা আজ এমন এক পরীক্ষায় ঝাপ দিতে যাচ্ছে সেখানে পড়ে গেলে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।একমাত্র খোদায়ী বিধান ওদের বা৺চাতে পারে।জড়বাদ আর আধ্যাত্নবাদের সংযোগ সেতু বন্ধনে রচিত করার জুড়ি নেই।জড়বাদ যেই সমাজে প্রবল,অথচ অধ্যাত্নবাদ শূন্য,সে সমাজে পতন অনিবার্য।এ পয়গাম মুসলিম জাতির শোনানো দরকার ছিল।তাদের কন্ঠে ধ্বনিত হওয়া প্রয়োজন, হে পাশ্চাত্য, তুমি ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছ।আমরা তোমাকে বাঁচাতে চাই।

কিন্তু মুসলিম বিশ্বের মাঝে আজ এই স্পন্দন নেই।তাদের অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেছে।ইসলামী তালিম দেয়া তো দূরে থাক,আজ পাশ্চাত্য তন্তমন্তে নিজেদের পরিত্রান খুজছে আত্নসম্ভ্রবোধহীন মুসলিম জাতি।আপনারা  শাসক না হলেও এ কাজটি সমাধান করতে পারেন।খোদায়ী বলের সাথে অদম্য স্পৃহা যোগ করে দাওয়াতের  মহান কাজ কাঁধে তুলে নিতে পারেন।
আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে পারি, এ হেন মহাক্রান্তিকালে মুসলিম বিশ্বের কোন প্রতিবাদী কণ্ঠ যদি সচ্চোর হয়ে আমেরিকাকে জানিয়ে দিত,হে পাশ্চাত্যবাসী,তোমরা ব্যর্থ। হে পাশ্চাত্য,তোমার রোগের ঔষধ আমাদের কাছে আছে।তোমার ব্যবস্থাপত্র হচ্ছে কুরান ও হাদীসে রাসূল(সাঃ)

লজ্জায় মাথা নুয়ে আসে ,মুসলিম বিশ্বে এমন কোন প্রতিবাদী কণ্ঠ আজ নেই,যে আমেরিকার দিকে মুখ তুলে তাকাতে পারে।ওরা সকলেই পাশ্চাত্যের ভজন গীত গাইছে।পাশ্চাত্য আশীর্বাদে মুসলিম বিশ্বের আপদমস্তক ধন্য।দরিদ্রতা আর দেঊলিয়াত্ব আমাদের মাথায় চড়ে বসেছে।ভিক্ষুকের মত হাত পেতেছি ইউরোপ ও আমেরিকার দরজ়ায়।জাতির এমন নাযুক মুহূর্তে বিশ্বমোড়লের দিকে চোখ তুলে বজ্র হুংকার দেয়া যেনতেন কথা নয়।বিশ্বে এমন কোন দেশ আছে কি,নীতিবুভুক্ষ আমেরিকার মুখে যে দেশ তুলে দেবে এক লোকমা নীতিখাদ্য,দেবে চরিত্র গঠনের সুপরামর্শ?


 মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক- পার্ট-১     ৭মেগাবাইট

                                    পার্ট-২  
                                                 ৮মেগাবাইট


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন