শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১১

২৩।ইসলাহী খুতুবাত(৪)

ইসলাহী খুতুবাত এর ৪র্থ খন্ড প্রকাশিত হল,আসা করি পাঠক আলোচ্য  বিষয়গুলো সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি খুব সহজে অনুধাবন করতে পারবেন।

সন্তানের শিক্ষা-দীক্ষা
আজ আমাদের অবস্থা হলো সকল বিষয়ের ফিকির আছে,কিন্তু দ্বীনের কোনো ফিকির নাই।দ্বীন যদি এতই পরিত্যক্ত বস্তু হয়,তাহলে নামায পড়া,কিংবা মসজিদে যাওয়ার দরকার কী?
নিজেও সন্তানের মত হয়ে যান না কেন?শিশুকালে সন্তানকে পাঠিয়ে দেন নার্সারীতে।সেখানে তাকে কুকুর বিড়েয়াএল শেখান  হয় কিন্তু দ্বীনী শিক্ষা দেয়া হয় না।ফলে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত অন্ধকারে চলে যাচ্ছে।তারাই ত জাতির ভবিষ্যত।জাতির ভবিষ্যত নেতৃত্ব তো তাদের হাতে।অথচ তারা নিজেরাই হারিয়ে যাচ্ছে গোমরাহীর আবর্তে।কুরান ও হাদীস এর শিক্ষা থেকে অনেক দূ্রে।

মাতা পিতার খেদমত
এই পার্থিব জগতে রয়েছে হাজারো ভালোবাসা।রয়েছে বহু ধরনের সম্পর্ক।এসব সম্পর্ক ও ভালোবাসার মাঝে লুকিয়ে থাকে কোনো না কোনো সার্থ,কোনো না কোনো  আশা।ভালোবাসার বিচিত্র এ ভুবনে নির্ভেজাল শুধু একটাই।তাহলো সন্তানের প্রতি মাতা পিতার ভালোবাসা।এজন্য আল্লাহতাআলা তাদের হকসমূহের মূল্যায়ন করেছেন।তার পথে জিহাদ করার চেয়েও মাতা পিতার হককে অধিক প্রাধান্য দিয়েছেন।
গীবত একটি মারাত্নক গুনাহ
গীবত একটি মারাত্নক গুনাহ।যেমন মদ পান করা কবীরা গুনাহ।মদ পান করা যেমন হারাম,অনুরুপভাবে গীবত করাও হারাম।অথচ আমারা মদ পান করাকে হারাম মনে করি কিন্তু গীবত করাকে হারাম মনে করি না, এর কারন কী?গীবতও তো একটি মারাত্বক গুনাহ,হারাম বরং হাদীসে এসেছে যিনার চাইতে অধিক জঘন্য গীবতের গুনাহ।

ঘুমানোর আদব
এসব আদব ও মুস্তাহাব কাজ আমাদেরকে শিখিয়েছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম।এগুলো ফরয নয়,ওয়াজিবও নয়,কিন্তু এগুলো নূর ও বরকত অনেক।এগুলো নবীজীর প্রতি আমাদের ভালোবাসার দাবী । এগুলো পালন করা  কিংবা বর্জন করার এখতিয়ার আছে।এটাও নবীজীর করুনা যে,তিনি আমাদের এখতিয়ার দিয়েছেন।তিনি বলেছেনঃ না করলে গুনাহ নেই,করলে সওয়াব আছে।উদ্দেশ্য এসব শিষ্টাচারে আমাদের অভ্যস্ত করানো।
আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ার সহজ পদ্ধতি
আল্লাহর  সাথে সম্পর্ক মানে গুনাহমুক্ত জীবন।সেই মানুষ থেকে তখন আর গুনাহ প্রকাশ পায় না।প্রকাশ পায় যথাসাধ্য ইবাদত করার এক বিরামহীন চিত্র,উত্তম চরিত্র অর্জনের এক চমৎকার অনুশীলন এবং অধম চরিত্র থেকে বাচার এক নিরলস প্রচেষ্টা।এসব কিছু আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করার কারনেই অর্জিত হয়।

যবানের হেফাযত
আল্লাহতাআলা আমাদেরকে যবান দান করেছেন।এ নিয়ে গভীর ভাবনার প্রয়োজোন রয়েছে।এটি আল্লহর অনেক বড় নেয়ামত।কথা বলার জন্য যবান এক অটোমেটিক মেশিন।যা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের সঙ্গ দিচ্ছে।এর জন্য পেট্রোল লাগে না সার্ভিসের দরকার হয় না,মেরামতের দরকার হয় না।তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে এই মেশিন এর মালিক আমরা নই।এটা খোদা প্রদত্ত মেশিন যা আমাদের নিকট আমানত।তাই মেশিন শুধু তাকে সন্তুষ্ট করার কাজেই ব্যভার করতে হবে।যা মনে আসল তাই বলে ফেললাম এমন যেন না হয়।যে কথা কেবল আল্লাহর বিধানমাফিক হবে শুধু তাই বলতে হবে অন্য কথা বলা চলবে না।

হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং বায়তুল্লাহর নির্মান
হযরত ইব্রাহিম (আঃ) বায়তুল্লাহ নির্মান করেছেন।এটা সাধারন কোনো ঘটনা নয়,বরং বিশ্বমানবতা ও ধর্মসমূহের ইতিহাসে এর চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ঘটনা দ্বিতীয় আরেকটি ঘটেনি।কেননা পৃথিবীর বুকে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ঘর নির্মান হতে যাচ্ছে।

সময়ের মূল্য দাও
বর্তমানে আমাদের সমাজ ও পরিবেশ জীবনে সবচেয়ে অবহেলার বস্তু হলো সময়। যেমন তেমন করে শেষ করে দিচ্ছি সময়।গল্প গুজব,আড্ডা এবং বেহুদা কাজে নষ্ট হচ্ছে সময়।সময়কে এমন কাজে নষ্ট করা হচ্ছে যাতে না আছে আখিরাতের ফায়দা না আছে দুনিয়ার ফায়দা।দোহাই লাগে জীবনের এই পদ্ধতি বাতিল করুন।প্রতিটি মুহূর্তকে সঠিকভাবে কাজে লাগান।

ইসলাম ও মানবাধিকার
মানবাধিকারের বেলায় নবীজীর সবচেয়ে বড় অবদান হলো  তিনি মানবাধিকাররে সঠিক বুনিয়াদ  নির্ধারন করে গেছেন।এমন ভিত রচনা করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন,যার আলোকে নিঃসঙ্কোচে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা যাবে।সংরক্ষন ও অসংরক্ষনযোগ্য মানবাধিকারের শ্রেণীবিন্যাস করা যাবে।রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম প্রদর্শিত পথনির্দেশনা থেকে মুখ ফিরিয়ে এই পৃথিবীতে আর কারো এমন কোনো গাইডলাইন পাওয়া যাবে না,যার ভিত্তিতে বাস্তব ও অবাস্তব মানবাধিকার সংরক্ষন নির্ধারনী মাপকাঠি খুজে পাওয়া যাবে।
শবে বরাতের হাকীকত
তিনটি যুগ মুসলিম উম্মাহর নিকট সর্বশ্রেষ্ঠ যুগ।সাহাবায়ে কেরামের যুগ,তাবেঈদের যুগ তাবে তাবেঈর যুগ।এই তিন যুগে দেখা গেছে শবে বরাতকে ফযীলতময় রাত হিসেবে পালন করা হতো।মানুষ এই রাতকে ইবাদতের জন্য গুরুত্ব দিত।সুতরাং একে বিদআত বলা কিংবা ভিত্তিহীন বলা উচিত নয়।এ রাত ফজীলতপূর্ণ,এটাই সঠিক কথা।এ রাতে ইবাদত করলে অবশ্যই সওয়াব পাওয়া যাবে।

মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিঙ্ক- পার্ট-১   (5.56 mb)
                    

                     পার্ট-২  (6.23 mb)


1 টি মন্তব্য: