সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১২

৪১।কিসরার মুকুট




কিসরার মুকুট সাহাবা জীবনের আলোকময় কিছু ঘটনা নিয়ে সাজানো হয়েছে।আসা করি পাঠকের ভাল লাগবে।বইটির একটি ঘটনার সামান্য অংশ তুলে ধরা হল-
আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা বর্ম খুলে সেলোয়ার পরলেন।তারপর মায়ের নিকট দোয়া প্রার্থনা করলেন।তখন আসমা বিনতে আবূ বকর(রাঃ) হাত তুলে এই বলে দোয়া করলেন ,হে আল্লাহ নিঃসীম রাতে যখন মানুষ আয়েসী ঘুমে অচেতন থাকত সে সময় তার নামাজ ও রোনাজারিকে আপনি কবুল করুন।
মক্কা ও মদিনার রোযার সময় ক্ষুধা ও তৃষ্ণাকে আপনি কবুল করুন।পিতামাতার প্রতি তার অসীম অনুগত্যকে আপনি কবুল করুন।হে আল্লাহ আমি তাকে আপনার হাতে সমর্পণ করলাম।আপনার ফয়সালাতে আমি সন্তুষ্ট।সুতরাং তাকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন।তারপর আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা যুদ্ধ করতে করতে শাহাদাত বরন করেন।ইতিহাসের সোনালী পাতা আজো তার বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ-গাথা বর্ণনা করে গর্ব করে।শাহাদাতের পর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ তার শির ছিন্ন করে আবদুল মালেকের নিকট প্রেরণ করে ও তার দেহ মক্কার বাইরে এক উঁচু স্থানে ঝুলিয়ে দেয়।বৃদ্ধ মাতা এই সংবাদ কিভাবে গ্রহণ করেছিলেন তা কাগজ কলম ব্যক্ত করতে আজও পারেনি।পারবেও না।তবে ইতিহাস বলে,আসমা বিনতে আবূ বকর(রাঃ) অত্যন্ত বিনয়ের সাথে তার ছেলের লাশ দাফন করার অনুমতি প্রার্থনা করেছিলেন,কিন্তু হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ বলেছিলও,আমি এই দৃশ্য স্থায়ী করতে চাই।কুরাইশের কিশোর-যুবক আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের এই দৃশ্য দেখে নীরবে অশ্রু ফেলে চলে যেত।একবার আসমা বিনতে আবূ বকর(রা:) এ পথে যাওয়ার সময় প্রাণপ্রিয় পুত্রের লাশের দিকে দীর্ঘক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। অন্তরের কান্নার ঝড়কে অন্তরেই বহু কষ্টে দাফন করে শুধু কম্পিত কণ্ঠে বলেছিলেন,এখনো কি এই বীর যোদ্ধার অশ্ব থেকে নেমে আসার সময় হয়নি।তারপর চোখ ফেটে অন্তরের বেদেনা  নিয়ে  দুফোটা  তপ্ত অশ্রু মরুর বালিতে গড়িয়ে পড়েছিলো।

ডাউনলোড লিঙ্ক-  কিসরার মুকুট

                                     ফাইল সাইজ- ৯ মেগাবাইট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন